ভোরের আলো ডেস্কঃ
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় অস্ত্র মামলার আসামি নাজিউর রহমান সোহেলের (মুরগী সোহেল) ৫ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে নিকলী থানা পুলিশ। ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন কারার শাহরিয়ার,তুলিপ ও আলামিন। জানা গেছে, তুলিপ একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও স্থানীয় চেয়ারম্যান। অনেকের ধারণা এ কারণেই তুলিপসহ অন্য দুজনকে পুলিশ ধরছেনা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১০ই মে উপজেলা সদরের খালিশাহাটি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে নাজিউর রহমান সোহেল ওরফে মুরগী সোহেল এবং জাফরাবাদ গ্রামের মৃত আঃ হাসিমের ছেলে মোঃ সাদ্দাম হোসেনের দুগ্রুপের মধ্যে সোয়াইজনী নদীর চর দখল করে মাছের ফিসারী তৈরি নিয়ে তাদের মধ্যে গুলাগুলির ঘটনায় নারী শিশুসহ ৮জন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলো।
এঘটনায় পলাতক আসামি মুরগী সোহেলকে র্যাব ১৪ (কিশোরগঞ্জ) সিপিসি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আগ্নায়াস্ত্র এবং তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা দেশিও অস্ত্র উদ্ধার করেন।
গতবছর ০১লা জুন ২০২১ কিশোরগঞ্জ জেলা আদালতে নাজিউর রহমান সোহেল ওরফে মুরগী সোহেল ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছিলেন। জবানবন্দিতে ৮জন সহযোগীর নাম প্রকাশ করেছিলেন বলে জানান নাজিউর রহমান সোহেল।
জবানবন্দির ভিত্তিতে অস্ত্র মামলার নথিভুক্ত হলে পরবর্তীতে তাদের নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়। দীর্ঘদিন পর নিকলী থানা পুলিশ, তাদেরকে খোঁজাখুঁজির পর গত ১৬মার্চ নিকলী উপজেলা সদরের জাফরাবাদ গ্রামের মৃত আঃ হাসিম এর পুত্র মোঃ সাদ্দাম হোসেন, সালমান শাহ, একই গ্রামের আবু মিয়ার পুত্র মোঃ ফজলু মিয়া,একিন আলীর পুত্র শামসু মিয়া এবং চন্তিহাটি গ্রামের মোঃ শেরআলী মাস্টারের পুত্র মোঃ মাহমুদুল হাসান তোফাজ্জলকে গ্রেফতার করেন এবং কিশোরগঞ্জ আদালতে তাদেরকে প্রেরণ করেন ।
Leave a Reply